গল্প : এডমিনের সাথে প্রেম

Part : 7 & (8 end part) একসাথে দুই পর্ব

লেখক : মো. তামিম

 

--- আপন করে নিবো ।।

এইভাবে তাদের মধ্যে ফোনালাপ চলতে থাকে ।। মিমের সব ভুল ক্ষমা করে দিয়ে তাকে আবার আপন করে নেয় ।। রাত তখন প্রায় দুটো বাজে,,

--- এখন রাখি হু ।। কাল আমার তাড়াতাড়ি উঠতে হবে ।। বাই গুড নাইট ।।

--- পাসওয়ার্ড দিলেই ফোন রাখবো না হয় রাখবো না ।।

--- ওকে বাবু দিচ্চি ।। উম্মাহ ।।

সিংগেলদের কি হিংসে হয় ।। হিংসে হলে আমার কিছু করার নেই ।। যা করার আপনারাই করেন ।। যাই হোক এবার গল্পে ফিরি ।। এরপর তামিম মোবাইল রেখে দিয়ে ঘুম পরীর খুজে ঘুমের দেশে পারি জমাই ।।

সকালে মুয়াজ্জিনের আজানের সুললিত কণ্ঠে তার ঘুম ভেঙ্গে যাই ।। উঠে ওযু ইস্তিঞ্জা করে মসজিদ পানে চলে যাই নামাযের উদ্দেশ্যে ।। নামাজ শেষে একটু হাটাহাটি করে বাসায় চলে আসে ।। এর পর ‍সবার সাথে বসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ।। এই ভাবে দিন যাই মাস যাই তামিম আর মিমের সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে ।। এখন একজন আরেকজন ছাড়া একমুহুর্ত ও চলতে পারেনা ।। সবসময় দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার খুনশুটি গুলো করতে করতে তাদের দিন চলে যাই ।। আর এই দিকে দেখতে দেখতে মিমের পরীক্ষাও চলে আসে ।।

--- মিম শুনো কাল থেকে যেনো তোমায় আর ফেসবুকে না দেখি ।।

--- কেনো ??

--- কেনো মানে কি ?? তোমার পরীক্ষার আর কয়দিন বা আছে এখন নিজের পড়ার প্রতি সময় দাও এসব ভার্চুয়াল জগৎ থেকে কিছুই পাবানা ।।

--- কিন্তু তামিম আমি তোমার সাথে কথা না বলে কি ভাবে থাকবো বলো ।। তুমি তো জানো তোমার সাথে একমিনিট কথা না বললে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে ।। তুমি আমার প্রতিটা নিশ্বাসে জড়িয়ে গেছ ।। কিভাবে পারবো তোমায় ছাড়া থাকতে ।।

--- কথা না বলে আমিও তো থাকতে পারবো না ।। আর আমার ফোন নাম্বার তো আছেই ।। যখন ইচ্ছা ফোন দিবা কথা বলবো ।।

--- কিন্তু………….

--- কোন কিন্তু নয় ।। আমি যেটা বলছি সেটাই করবে ।।

--- ঠিক আছে ।। তুমি যা বলবে তাই হবে তবে তোমায় ছাড়া দিন গুলো কাটাতে অনেক কষ্ঠ হবে ।।

--- একটা কথা মনে রাখবে কষ্ঠ করলে কেষ্ঠ মিলে ।। তো পরীক্ষার জন্য তোমাকে অনেক কষ্ঠ করতে হবে ।।

এরপর থেকে তামিমের কথা অনুযায়ী মিম আর অনলাইনে আসেনি কিন্তু সবসময় তাদের ফোনে কথা হতো ।। এইভাবে তাদের দিনগুলো কাটতে থাকে ।। দেখতে দেখতে হঠাৎ একদিন

 

--- তামিম তুমি কাল আমার সাথে দেখা করো প্লিজ ।। তোমায় না দেখে আর থাকতে পারছি না ।।

--- ওকে কাল কোথাই আসতে হবে বলো ??

--- কাল ………… জায়গায় …………. এই সময়ে ।।

--- আচ্ছা ঠিক আছে আমি চলে আসবো ।।

এরপরের দিন তামিম মিমের বলা সেই ঠিকানাই চলে যাই ।। কিন্তু গিয়ে দেখে এখনো মিম সেখানে আসেনি ।। তাই সে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ।। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর মিম চলে আসে ।।

--- তোমার আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো ?? (তামিম)

--- না ।। বাড়িতে থেকে কোনভাবেই বের হতে পারছি না তাই একটু লেট হলো সরি ।। তুমি কখন এলে ??

--- এইতো একটু আগেই এলাম ।।

--- কই দাও আমার খাবার ।।

--- এই না মিস বাদাম পাগলী ।। (কিছু বাদাম দিয়ে)

কিছু সময় ওই জাইগাই থেকে,,,,,,,

--- আজ আসি হ্যা ।। বাড়িতে তাড়াতাড়ি যেতে না পারলে আম্মুর কাছে ধরা পড়বো ।।

--- আচ্ছা ঠিক আছো চলো তোমায় বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি ।।

--- আরেহ পাগল লগবে না আমি একাই যেতে পারবো আর কেউ এইভাবে দেখলে সমস্যা হয়ে যাবে ।।

তারপর যে যার যার বাসায় চলে যাই ।। এইভাবে দেখতে দেখতে মিমের পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাই ।। আর তামিমের পরীক্ষার রেজাল্টও চলে আসে ।। অবশ্যই রেজাল্ট ও খুব ভালো হয়েছে তাই তার মা তাকে কাজে জয়েন করার জন্য বলে ।। কিন্তু তামিমের এসবের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ।।

--- মা মাত্রই তো রেজাল্ট বের হলো এর মধ্যেই কি চাকরি তে জয়েন করতে হবে ।।

--- তো এইভাবে কতদিন চলবি ।। দেখছিস তোর বাবারও বয়স হয়ে আসছে কদিন পার রিটায়ার্ড হবে ।।

--- আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে করবো করবো এইভার খুশি ।।

--- হ্যা খুশি ।।

এদিকে মিমের পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই তার বাবা একটার একটা বিয়ের সম্বোন্ধ নিয়ে আসছে কিন্তু একটাতে মিম তার মতামত দিচ্ছেনা ।। দিবেই বা কিভাবে সে তো তামিমকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা বিয়ে করলে তাকেই করবে ।। এই নিয়ে মিম ভীষণ চিন্তিত কি করবে কিছুই মাথায় আসছে না ।। অবশেষে তামিমকে এই কথা জানায় ।।

--- কি বলছো এসব ??

--- হ্যা যা শুনছো ঠিকই বাবা বিয়ের জন্য খুব উঠে পড়ে লেগেছে প্লিজ তুমি কিছু একটা করো ।।

--- হুম আমি দেখতেছি কি করা যাই ।।

--- যা করার তাড়াতাড়ি করো আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না ।।

এইভাবে কয়েকদিন কেটে যাই কিন্তু তামিম কোন ব্যবস্থাই করতে পারেনা ।। সে ও কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা ।। কয়েকদিন পর নিলয় মিমকে ফেসবুকে নক দেয় ।। সে কোন প্রকার রিপ্লাই না দিয়ে সিন করে রেখে দেয় ।।

--- মিম প্লিজ কথা বলো তোমার সাথে কিছু জরুরি কথা আছে ।। (নিলয়)

--- তোমার মতো প্রতারকের সাথে কিসের কথা ।। তোমার সাথে আমার কোন কথাই নেই সো প্লিজ আর নক দিবে না ।।

--- মিম একটি বার শুনো আমি কি বলতে চাইছি ।।

--- ওকে বলো কি বলবে ??

--- ঐ দিনের জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও ।।

--- তোমায় ক্ষমা করবো আমি ।। তোমার মধ্যে আামার জন্য কোন ভালোবাসা ছিলো না ছিলো শুধু খারাপ উদ্যেশ্য ।।

--- তুমি তামিমকে খুব ভালোবাসো তাই না ??

--- শুধু ভালোবাসি বললে ভূল হবে ।। আমার প্রতিটা নিশ্বাস শুধু তামিম আর তামিম ।।

--- ওকে দেখো তোমার তামিম তোমায় কিভাবে ধোকা দিচ্ছে ।। (কতগুলো স্ক্রিনশট দিয়ে)

 

এর পর মিম স্ক্রিনশট গুলো একের পর এক ভালো করে দেখতে থাকে ।। এসব দেখে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ।। ছিঃ আমি তাকে পাগলের মতো ভালোবাসি আর সে আমার সাথে আমার ভালোবাসা নিয়ে এইভাবে খেলা করলো ।। এরপর তামিমকে ফোন দেয় ।।

 

--- তুমি কাল ………………. এই জা্য়গাই ……… সময়ে আমার সাথে দেখা করবে ।।

--- আচ্ছা ঠিক আছে ।।

এর পরেরদিন তামিম রেডি হয়ে মিমের বলা জায়গায় চলে যাই ।।

--- হুম বলে কি জন্য ডেকেছো ??

--- ডেকেছি শুধু তোমারা এই নোংরা চেহেরাটা দেখার জন্যে ।।

--- কিহ ?? মানে কি বলছো এসব ।।

--- এসব কি হ্যা (মোবাইল থেকে কিছু মেসেজের স্ক্রিনশট বের করে)

এর পর কি হয়েছে তাতো জানেনই ।। আর না জেনে থাকলে প্রথম পর্বটি পড়ার দাওয়ার রইল ।। এতোক্ষণ সবছিলো ফ্ল্যাশব্যাক আসুন এবার বর্তমানে ফিরি ।। তামিম বাসায় এসে সোজা রুমে চলে যাই ।। রুমের দরজা বন্ধ করে অঝোর ধারায় কাদতে থাকে ।। এই বিষয়টি একটু লক্ষ করে ।।

--- কিরে বাবা তোর কি হয়েছে এইভাবে মুখ গোমরা করে বসে আছিস কেন ??

--- না আম্মু কিছু হয়নি এমনি কিছুই ভালো লাগছেনা ।।

--- বাবা আমি তোর মা ।। আর তোর মুখ দেখেই বুঝতে পারছ কিছু হয়েছে কিন্তু কি হয়েছে আমায় খুলে বল ।।

এইকথা শুনে তামিম তার মাকে জড়িয়ে ধরে আরো অজোর ধারায় কাদতে থাকে ।। তারপর এই পর্যন্ত সবকিছু খুলে বলে ।।

--- আম্মু বিশ্বাস করে আমার কোন দোষ ছিলোনা ।।

--- আমি জানি বাবা আমার ছেলে কখনো কাউকে ঠকাতে পারবে না ।। আমি তোকে এমন শিক্ষা কখনো দিইনি ।। একদিন ঠিক দেখবি মেয়েটি তোর থেকে আরো বেশি কাদবে ।।

এইভাবে কয়েকদিন পার হয়ে গেলে তামিম মিম কে ফোন দেয় ।।

--- কেনো ফোন দিয়েছিস হ্যা ?? তোকে না বললাম আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখবি না ।। আমার ভুল হয়েছে অনেক বড় ভুল শুধু তোর মতো ছেলেকে ভালোবেসে ।।

--- মিম বিশ্বাস করো এসব কিছুই আমি জানিনা ।। আর গত কয়েকদিন ধরে আমি অনলাইনে যাইনি ।।

--- তোর মতো মৃত্যুকের কথা বিশ্বাস করবো আমি ।।

--- আমার না খুব বুকে ব্যাথা করছে ।।

--- তোর বুকে ব্যাথা আমি কি করবো ?? ওষুধ খেয়ে নেয় ।।

--- কয়টা খেতে হবে ।।

--- তোর যে কয়টা খেতে ইচ্ছা হয় ততটাই খা ।। আর এরপর থেকে আমাকে আর ফোন দিয়ে জ্বালাবি না তোর সাথে আমার সব সম্পর্ক এখানেই শেষ ।। আর হ্যা আমি বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবো ।।

এরপর ফোন কেটে দেয় ।। বিয়ের কথা শুনে তামিমের বুকে রক্তকরণ হতে থাকে ।। যাকে সে পাগলের মতো ভালোবেসেছিলো সে কিনা আজ তাকে ভুল বুঝে দূরে চলে গেল ।। এইসব ভেবে তামিম প্রচুর কাদতে থাকে ।। একপর্যায়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় তার এই জীবন আর রাখবে না ।। কেনোই বা রাখবে তার সব কিছু যেখানে শেষ সেখানে এই জীবন রাখবে ।। তাই সে অনেকগুলো ঘুমের পিল একসাথে খেয়ে নেয় ।। কিছুক্ষণ পর তামিম মাথা ঘুরে মেঝেতে পড়ে যাই ।। শব্দ শুনে তার মা দৌরে তার রুমে চলে আসে কিন্তু দেখে রুমের দরজা বন্ধ ।। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খুলছে না দেখে দরজা ভেঙ্গে রুম ডুকে দেখে তামিমের নিতর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে ।। তার মা তাকে অনেক ডাকে কিন্তু সে কোন সারা দেয়না ।। কেনো সারা দিবে সে তো চলে গেছে না ফেরার দেশে ।। চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু দেখে তার মাও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।। কিছুদিন পর----- মিম অনেক খোজা খুজির পর জানতে পারলো যে তামিমের কথাই সত্যি ছিলো ।। মানে সে মিম ছাড়া আর কারও সাথে কথা বলেনি ।। এটা দেখার পর তার মাথা ঘুরে উঠে ।। ছিঃ ছিঃ আমি সত্যিটা না জেনে তামিমকে কষ্ঠ দিয়েছি ।। এই আমি কি করলাম ।। আজ পর্যন্ত তাকে যতগুলো কষ্ট দিয়েছি সবিই শুধু ভুল বুঝার কারণে ।। তখনই সে তামিমকে ফোন দেয় কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাই ।। পর পর অনেকবার ফোন করে কিন্তু ওপাশ থেকে একটি কথাই বলে “আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটি এই মুহুর্তে বন্ধ আছে, অনুগ্রহ পূর্বক আবার চেষ্ঠা করুন ধন্যবাদ” ।। আর থাকতে না পেরে তামিমের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ।। অবশেষে বাড়ির সামনে এসে দরজায় নক করতেই তামিমের আম্মু দরজা খুলে দেয় ।।

--- মিম মামনি তুমি ??

--- আন্টি আপনি আমার নাম জানলেন কি করে ।। আপনি তো আমাকে চিনেন না ??

--- কে বলেছে মা চিনিনা ।। তামিম আমার কাছে তোমার এতো নিখুত বর্ণনা করেছে যে এই বর্ণনা আমি কেন স্বয়ং একটা অন্ধ লোক ও তোমায় চিনতে পারবে ??

--- আন্টি তামিম কোথায় ?? (কেদে কেদে)

--- হুম তামিম ঐ গাছ তলায় তোমার জন্য অপেক্ষা করছে চলো মা ওখানে ।।

তারপর তার দুইজন ঐ গাছ তলায় একটা কবরস্থানের পাশে এসে দাড়াই ।।

--- আন্টি এখানে কেন ?? আমার তামিম কোথায় ??

--- এই যে দেখ কত শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে ।। কাউকে আর জ্বালাবেনা ।।

এইকথা শুনার পর মিমের আর বুঝতে বাকি রইলনা যে তামিমের মৃত্যু হয়েছে ।। এটা দেখে সে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই ধপাস করে ঐ জায়গাই বসে পড়ে ।।

--- তামিম এটা তুমি কি করলে ?? আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো এখন ।। আমাকে তুমি একটিবারের জন্য ক্ষমা করতে পারলে না ।। আমি তোমাকে অনেক ভুল বুঝে ছিলাম ।।

--- মা এই নাও তামিম যাওয়ার আগে একটা চিঠি লিখে গেছে তোমার জন্য ।। (একটা চিঠি ধরিয়ে)

তারপর মিম চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করলো ।।

 

মিম আমি জানি তুমি একদিন না একদিন তুমি আসবেই আমার কাছে ছুটে ।। এর আগের বার তুমি যতবার আমায় দুরে সরিয়ে দিয়েছিলে ততবার তোমার ভুল গুলো বুঝতে পেরে আমার কাছে ফিরে এসেছিলে ।। আর আমি তোমায় সবকিছু ক্ষমা করে দিয়ে আপন করে নিয়েছিলাম কারণ তোমায় পাগলের মতো ভলোবাসাতাম বলে ।। হ্যা এবার ও ক্ষমা করে দিয়েছি ।। ঐ দিন তোমার কথায় অনেক গুলো ওষুধও খেয়ে নিয়েছি ।। এখন আমার বুকে আর কোন ব্যাথা নেই সব একেবারের জন্য দূর হয়ে গেছে ।। জানো আজ তোমায় অনেক সু্ন্দর লাগছে ।। কারণ আমি জানি সেই আমার পছন্দের নীল শাড়ি,, কালো ব্লাউজ পড়ে আসবে ।। ভালো থেকো আর নিজের যন্ত নিও ।। আর কখনো তোমায় জ্বালাতে আসবো না ।।

 

চিঠিটা পড়ে মিম আরো অজোর ধারায় কেদে দিলো ।।

--- তামিম উঠো তামিম ।। এটা তুমি কি লিখছো ।। আমি তোমাকো ছাড়া বাচবো না তামিম উঠো তামিম ।। তুমি যে আমার নিশ্বাস ।। (কেদে কেদে)

হাজার বার বললেও তো সেই তামিম আর উঠবে না কারণ সে সবকিছুর মায় ত্যাগকরে চলে গেছে না ফেরার দেশে ।। নিচের সারকথাটি পড়ার অনুরোধ রইল ।।

 

বি:দ্র: এইভাবেই শেষ হয় হাজারো তরুন-তরুণির জীবন ।। হ্যা হাসি কান্না, ঝগড়া বিবাদ সবকিছু মিলিয়েই এই ভালোবাসার তৈরি হয় ।। তবে কিছু কিছু ভুল বুঝাবুঝি এমন হয় যে অনেক ছেলে মেয়ে নিজেকে শেষ করে দিতেও দ্বিধা বোধ  করেনা ।। তাই সবার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ ভালোবাসার মানুষটিকে এমন কোন কষ্ঠ দিয়েন না যা তাকে মৃত্যু পর্যন্ত ঠেলে দে ।। আর ইসলামের দৃষ্ঠিতে আত্মহত্তা মহাপাপ ।। যে আত্মহত্তা করে তার জন্য জান্নাত হারাম ।। এই গল্পে সম্পূর্ণটাই কাল্পনিক ।। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্ঠিতে দেখবে ।। 

                                                              👉

💓সমাপ্ত💓👈